ঘটনাস্থল-রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের ওরাছরি গ্রাম। ছবিঃ পিনাকী দেব অপু |
কেন লিখছি এই লেখা?
গত ২১ শে জানুয়ারী ২০১৮ দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ ২২ শে জানুয়ারী ভোরে রাঙ্গামাটি জেলার, বিলাইছড়ি উপজেলার, ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নের ওরাছড়া গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যে কর্তৃক একজন নারীকে ধর্ষন এবং অন্য নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগের পর ঘটনা বহুদূর গড়িয়েছে এবং ব্যাপারটিকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে তা বিষ্ময়কর।
গত ২১ শে জানুয়ারী ২০১৮ দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ ২২ শে জানুয়ারী ভোরে রাঙ্গামাটি জেলার, বিলাইছড়ি উপজেলার, ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নের ওরাছড়া গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যে কর্তৃক একজন নারীকে ধর্ষন এবং অন্য নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগের পর ঘটনা বহুদূর গড়িয়েছে এবং ব্যাপারটিকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে তা বিষ্ময়কর।
স্বঘোষিত তথাকথিত রাণী ইয়েন ইয়েন এই পুরো ঘটনার রেশ ধরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী তার ফেসবুকে একটি জবানবন্দী পোস্ট করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সেই দুই নারীকে তিনি তার দলবলসহ দেখতে যাবার পর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালের মধ্যেই অন্তরীন করে রেখেছিলো এবং তিনি সেনাবাহিনীর এইসব বাঁধা অতিক্রম করে দেয়াল টপকে পালিয়েছিলেন, ১৫ মিনিট বন ও জঙ্গল দিয়ে দৌড়েছিলেন এবং পরে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আধাঘন্টা জলহস্তীর মত পানিতে মটকা মেরে পড়েছিলেন। তার পর তিনি লোকালয়ে ফিরে এসেছিলেন।
এই লেখাতে এই জবানবন্দীর পোস্টমর্টেম করা হবে। আমি দেখতে চেয়েছি যুক্তির মাইক্রোস্কোপের নীচে ইয়েনের জবানবন্দী আসলে কতটা সত্য। আমি একজন আইনজীবির চোখেই নয় বরং একজন সাধারণ মানুষের চোখেই আজ ইয়েন ইয়েনের বক্তব্যগুলোকে দেখবার চেষ্টা করব। আমি যেসব যুক্তি, যেসব ভ্যান্টেজ পয়েন্ট দিয়ে কথা বলব কিংবা যে অপিনিয়ন দেব সেটি একান্তই আমার। আপনারা পাঠকেরা বিবেচনা করবেন আমার বক্তব্যের জোর কিংবা কতটুকু যৌক্তিক। সে ভার আপনাদের কাছেই অর্পিত রইলো।
কিন্তু এগুলো সব জানবার আগে আসলে ঘটনার ইতিবৃত্ত-ও কিছুটা জেনে নেওয়া জরুরী।
আসুন শুরু করা যাক...
আসুন শুরু করা যাক...