আমার সম্পর্কে

আমার নাম নিঝুম মজুমদার। কেতাবী নাম গোলাম মারুফ মজুমদার। ডাক নাম নিঝুম। সে সূত্রেই নিঝুম মজুমদার। আমার বাবা বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবি। গত ৪০ বছর ধরে তিনি আইন পেশায় সাফল্যের সাথে নিয়োজিত রয়েছেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আমার অবস্থান তৃতীয়।

আমি এস এস সি ও এইচ এস সি পাশ করেছি বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুল ও কলেজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল/কলেজ থেকে। ২০০৩ সালে আমি ইংল্যান্ডে আসি। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে থেকে আমি ডিপ্লোমা ইন ল ও LLB ডিগ্রী সম্পন্ন করেছি এবং MBA সম্পন্ন করেছি গ্লিন্ডর ইউনিভার্সিটি, ওয়েলস থেকে। একটা পর্যায়ে আমি অস্ট্রেলিয়াতে আইনজীবি হিসেবে স্থায়ী ভাবে থাকবার ইচ্ছে পোষন করি যদিও পরবর্তীতে আর সেখানে না থেকে ইংল্যান্ডে থেকে যাবার ব্যাপারটিই চূড়ান্ত করি।

আমি অস্ট্রেলিয়াতে আইনজীবি হতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে একাডেমিক অংশ করেছি অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ণক্রস ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইংল্যান্ড, আর্মিডেল (অস্ট্রেলিয়া) থেকে। পরবর্তীতে প্র্যাক্টিকাল লিগাল ট্রেইনিং (PLT) করেছি কলেজ অফ ল অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং অর্জন করি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন লিগাল প্র্যাক্টিস ডীগ্রি।

আমি একজন অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবি। রোল সাইন করেছি ব্যারিস্টার হিসেবে। আমি নিউ সাউথ ওয়েলস অস্ট্রেলিয়ার একজন লাইসেন্সধারী ও প্র্যাকটিসিং সলিসিটর এবং এখানকার সর্বোচ্চ আদালত, নিউ সাউথ ওয়েলস সূপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবি। আমি একই সাথে নিউজিল্যান্ড হাই কোর্টের একজন এনরোলড ব্যারিস্টার ও সলিসিটর। আমার এনরোলড আদালত হচ্ছে ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড।

আমি ইংল্যান্ডে প্র্যাক্টিস করছি রেজিস্টার্ড ফরেন লইয়ার হিসেবে। ফলে আমি একই সাথে তিনটি দেশ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের আইনজীবি।  

আমি “ইন্টারন্যশনাল ক্রাইমস রিসার্চ ফাউন্ডেশন” একটি গ্লোবাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এই অর্গানাইজেশন আন্তর্জাতিক অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়াদি ও এই জাতীয় নানাবিধ আদালতের আইন, কানুন, রায় ইত্যাদি নিয়ে গবেষনা করে থাকে। আমি এই অর্গানাইজেশনের আইনী গবেষনা দলের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছি।

আমি নাগরিকত্ব সূত্রে ইউনাইটেড কিংডম ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। বর্তমানে বসবাস করছি লন্ডনে। বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য আইনী ফার্মে পার্টনার ও কেইস ওয়ার্কার হিসেবে রয়েছি এবং একই সাথে ইংল্যান্ডে কেইস ওয়ার্কার হিসেবে একটি সলিসিটর ফার্মে  কর্মরত রয়েছি।

পেশাগতভাবে আইনজীবি হলেও আমি নিজেকে একজন লেখক ভাবতেই অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সাথে জড়িত। আমি ব্লগিং করি ২০০৭ সাল থেকে। বাংলা কমিউনিটির নানাবিধ ব্লগেই আমি নিয়মিত লিখি এই ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য অনলাইন পত্রিকা ও জাতীয় নানাবিধ পত্রিকাতে আমার কলাম, লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে নিয়মিত। 

রাজনীতি, সাহিত্য, সমাজ এগুলোই আমার লেখার মূল বিষয় তবে আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের একজন গবেষক আর এই বিষয়টি-ই আমাকে বেশী টানে লেখালেখির ক্ষেত্রে। 

২০১৮ সালে  আমার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের নাম "একাত্তরের  ঘাতকদের বিচারে মুসলিম আইডেন্টিটির অপব্যবহার।  দুই বছর পর, অর্থ্যাৎ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয় আমার ২য় গ্রন্থ, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতঃ বিবাদী পক্ষের অদ্ভুত সাক্ষীগুলো'। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বাংলাদেশ নিয়ে আমার  একটি পূর্ণাঙ্গ  গ্রন্থ বের হবার কথা রয়েছে। গ্রন্থের নাম 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বাংলাদেশঃ ইতিহাস-আইন-বিচার-পর্যবেক্ষন-বিশ্লেষন'

লেখালেখি ছাড়াও আমি বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে ইলেক্ট্রনিক বিভিন্ন মিডিয়ায় যেমন টিভি, রেডিও ইত্যাদিতে প্রায় সময়ই অংশগ্রহন করে থাকি ও আমার মতামত দিয়ে থাকি।

২০১৩ সালে জার্মানীর বিখ্যাত মিডিয়া ডয়েচে ভেল [Deutsche Welle (DW)] সারা বিশ্ব থেকে ১০ জন নির্বাচিত অনলাইন একটিভিস্টের মধ্যে একজন হিসেবে আমাকে বিবেচিত করে। এছাড়াও বিডি নিউজ ২৪ ব্লগ থেকে আমাকে সেরা সিটিজেন জার্নালিজম হিসেবে পুরষ্কৃত করা হয়।

আমার স্ত্রী’ও পেশায় একজন ব্যারিস্টার। আমার এক পূত্র এবং এক কন্যা।  স্ত্রী, এক পূত্র ও এক কন্যা নিয়ে আমার পরিবার।


DIL,LLB (Hons),MBA (UK), PLT & PGDLP (Australia)
Registered Foreign Lawyer, England & Wales
Solicitor, The Supreme Court of New South Wales, Australia
Enrolled Barrister and Solicitor, The High Court of Wellington, New Zealand
Legal Research Analyst, International  Crimes Research Foundation
www.nijhoom-majumder.blogspot.com | nijhoom.majumder@gmail.com 

No comments:

Post a Comment