Thursday 23 October 2014

অনুচ্চারিত শোকগাঁথা

উৎসর্গঃ আরিফ রহমান। অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এই তরুনের হাত ধরে বহুদূর যাবে এই কথা আমি আজকে নির্দ্বিধায় বলি। আমি আগুন চিনি, আমি আগুনের উত্তাপ পাই...

আমরা মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হারাবার কথা এলেই সবার আগে বলি ৩০ লক্ষ বা তারো বেশী শহীদের কথা এবং ৪ লক্ষ নির্যাতিত মা বোনদের কথা। এটা আমিও নিজে অসংখ্যবার বলেছি, লিখেছি। ইনফ্যাক্ট আমরা সকলেই এই তথ্য বলি কিংবা লিখি। আজকে হঠাৎ করেই আরেকটা ভাবনা মাথায় এসে গেঁথে রইলো। এই ভাবনা যে আগে আসেনি তা না, এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেক আগে একটা লেখা লিখেছিলাম, লেখাটা আর খুঁজে পাইনি, কোথায় যে হারিয়ে গেলো।

Saturday 4 October 2014

নেই


আমার খুব স্পস্ট মনে আছে জায়গাটার নাম। একটা রিকশায় আমি আর লিমন। নাকিবের বাসার দীর্ঘ আড্ডা শেষে কোনো এক রাতে আমরা ফিরছিলাম কোথাও যেন। খুব সম্ভবত ২০০২ সালের শুরুর কথা। আমাদের রিকশাটি শ্যামলীর শিশুমেলা শেষ করে আগারগাঁ এর রাস্তাটি মাত্র ধরেছে। আমরা ফিরছিলাম মোহাম্মদপুর শেরশাহশুরী রোড থেকে। লিমন তখন সবে মাত্র নতুন ক্যাডেট। ভাটিয়ারীতে লং কোর্সের জওয়ান। খুব সম্ভবত ঈদের ছুটিতে এসেছিলো ঢাকায়। লিমন আমার শৈশবের বন্ধু। বলা যেতে পারে প্রাণের বন্ধু। আমরা শৈশবের যতগুলো বন্ধু রয়েছি তাঁদের এক একজন, এক একজন বন্ধুদের শ্বাস চিনি, প্রশ্বাস চিনি। আমরা আসলে আলাদা আলাদা প্রাণের হয়ে বেঁচে থাকি বাহ্য জগতে কিন্তু ঐ শৈশবের বন্ধুদের জন্য আমরা একসাথে একটি এক কোষী প্রাণ। তাই লিমন যখন রিকশায় বসে ওঁর বেদনার কথা বলছিলো আমি তখন চুপ করে শুনছিলাম। ওঁর দীর্ঘঃশ্বাস বুঝতে পারছিলাম বলেই হয়ত চুপ করে থাকাটাই সেদিনের জন্য যথার্থ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।