Monday 26 February 2018

সুপ্রিয় লাল কমরেড একটু পাছাটা উঁচু করুন, একটা সজোরে লাথি দিতে চাই

পাহাড়ের এক যুবক আমাকে গত পরশু খুব রেগে মেগে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০ ইনবক্সে পাঠান। যেখানে তিনি আমাকে প্রচন্ড তীব্র ভাষায় বলেন, পারলে পড়ে দেখবেন। আমরা এই আইনে চলি, আপনাদের মতো না।

আজ সকালে রেগুলেশনটিতে চোখ বুলাচ্ছিলাম। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। মন খারাপ হোলো দুটো কারনে।

(১) এই বাংলাদেশের বুকে কত নীরব অন্যায় অজানা রয়ে গেলো
(২) মানুষ কিভাবে দাসত্বকে এইভাবে মেনে নেয়

আপনি নিশ্চই ভাবছেন উপরের কথাগুলো আমি কেন লিখেছি? আসুন একটু জেনে নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর ৪২(ক)(১) থেকে শুরু করে ১৭ ধারা পর্যন্ত যে কথাগুলো লেখা রয়েছে সেটিকে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় "দাসত্ব" বলা যেতে পারে।

সেখানে লেখা রয়েছে-

Regulation regarding compulsory labour

[42A. (1) All adult male residents of the Chittagong Hill Tracts of an apparent age of not less than 18 and not more than 45 other than persons in the service of the Crown, Shop-keeper living in bazars and school teachers are liable to render labour in accordance with the orders from time to time issued by the Provincial Government, on the requisition of the Deputy Commissioner or other gazetted officers of Government having jurisdiction in the Chittagong Hill Tracts or of a chief or a headman or of any other officer authorised by the Deputy Commissioner, and when so employed such residents shall receive wages at such rates as may be prescribed from time to time by the Deputy Commissioner.

মানে দাঁড়াচ্ছে, একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক পুরুষ যিনি ১৮ বছরের নীচে নন কিংবা ৪৫ বছরের উপরে নন এমন ব্যক্তিকে ডেপুটি কমিশনার, সরকারী গেজেটেড অফিসার, সার্কেল চীফ, হেডম্যান কিংবা ডেপুটি কমিশনারের মোনোনীত যে কাউকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাদেষিক সরকার (স্থানীয় সরকার কিনা পরিষ্কার নয়) এর সময়ে সময়ে আদেশ মোতাবেক কাজ করতে হবে।

মানে দাঁড়াচ্ছে, উপরের ব্যাক্তিরা চাইলে একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তি কাজ করতে বাধ্য থাকবেন।

আবার এই উপরিউক্ত ধারার ২ নাম্বার উপ ধারায় বলা হচ্ছে-

(2) Whenever voluntary labour on payment is not available, labour may be requisitioned under sub-rule (1) for the following purposes only: -

(a) for transport of Government stores;

(b) for carrying baggage or camp equipment of a Government officer, Chief or headman when on tour on duty in Chittagong Hill Tracts;

(c) for erecting shelters for the accommodation of Government officers and Chiefs when on tour on duty;

(d) for public works including making or maintaining roads, paths or bridges or clearing forest boundaries; provided that if any such work involves removal of the workers from their place of habitual residence, no requisition shall be made except under the orders of the Deputy Commissioner;

(e) for acting as boatmen for any of the purpose mentioned above.

অর্থ্যাৎ ভলান্টারী কাজে যদি কতৃপক্ষ শ্রমিকদের অর্থ দিতে সক্ষম না-ও হন তথাপিও ঐ উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের প্রয়োজনে ধারা ২ তে বর্ণিত কাজের জন্য কতৃপক্ষ প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিকদের ডাকতে পারেন। যেমন সরকারী কোনো গুদামঘরের ট্রাস্পোর্টেশনের জন্য, সরকারী অফিসার ও সার্কেল চীফের বাড়ী নির্মানের জন্য, রাস্তা নির্মাণ কিংবা দেখাশোনা, ব্রীজ নির্মান কিংবা দেখা শোনা ইত্যাদি।

এই ধারার উপ ধারার ৩ এ বলা রয়েছে সরকারী কর্মচারী কিংবা চীফের ব্যাক্তিগত কাজও করতে হবে ডাক পড়া প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যাক্তিদের।

(3) A Chief or a headman authorised by the Deputy Commissioner may also require a jhumia or plough cultivator in his circle or mouse to perform personal service in accordance with custom for not more than 4 days in a year and for not more than 8 hours in a day

আবার ৭ উপধারা মোতাবেক একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ৩৭ কেজি ওজনের জিনিস পত্র নিতে পারবে। মানে এই ওজন লিমিট একজন শ্রমিকের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

7) The maximum load to be carried shall not exceed one mound.

এই ধারার ১৬ উপ ধারায় বলা হয়েছে আরো ভয়াবহ কথা। কি লেখা রয়েছে আসুন জেনে নেই-

(16) Whoever willfully or negligently disobeys or refuses to comply with any order passed under sub-rule (1) shall be punishable with fine, which may extent to ten rupees.

মানে দাঁড়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলা করে অর্থ ছাড়া কাজ করতে কেউ যদি অস্বীকৃতি জানায় (উপধারা ২ দ্রষ্টব্য), তাহলে তাকে অর্থ দন্ডে শাস্তি দেয়া হবে। দন্ড হচ্ছে ১০ রূপী। (বাংলাদেশের কারেন্সি কি রূপী?)

মাথা রীতিমত ঘুরছে। একটা অঞ্চলে মানুষদের বাধ্য করা হচ্ছে রাজা গজাদের জন্য, সরকারের জন্য কাজ করাতে, তাদের ব্যক্তিগত কাজ করাতে, তাদের অর্থ ছাড়া কাজ করাতে, তাদের জোর করে কাজ করাতে।

আমাদের সেই লিলিপুট লাল কমরেডগুলো কই? এদের পাছা বরাবর ইচ্ছে করছে একটা কষে লাথি দেই। হারামজাদারা কথায় কথায় সেনাবাহিনীকে এই অঞ্চলে দোষ দেয়, ধর্ষক বানায়। বাঙালীদের সেটেলার উপাধি দেয় কিন্তু বদমাশগুলো এই অঞ্চলের এতবড় অন্যায় নিয়ে একটি কথাও বলেনি আজ পর্যন্ত। এরা নাকি সাম্যের কথা বলে! এরা নাকি মানুষের কথা বলে!

জোর করে শ্রম আদায় করা সাম্য নাকি কমরেড?

আসেন কমরেড পাছাটা একটু উঁচু করে দাঁড়ান। আপনার লাল পতাকার দন্ড দিয়ে আপনার পাছায় দুটো ঘা দেই। তাতে যদি মনে কিছুটা শান্তি আসে...

No comments:

Post a Comment