সাভার দূর্গতদের জন্য পাওয়া সাহায্য যেভাবে ব্যবহার করা হোলো

সাভারে ৮ তলা বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে খুব সম্ভবত গত মাসের ২৪ তারিখে। সে সময়ে ইউকে গণ জাগরন মঞ্চের কর্মীরা আর্ত মানবতার টানে এইসব হতভাগ্য দরিদ্র পোষাক শ্রমিকদের দূর্ঘটনাকালীন সময় কিংবা পরবর্তী কথা বিবেচনা করে নিজেদের চেনা গন্ডী, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। এই সাহায্য চাইবার মাধ্যম হিসেবে মূলত ফেসবুককেই বেছে নেয়া হয়। এ ছাড়াও ব্যাক্তিগত ভাবে ফোনেও অনেকের কাছে এই মানবতার জন্য আহবান পৌঁছে দেয়া হয়। অর্থ সাহায্য করবার জন্য মূলত দুইটি পদ্ধতি বিবেচ্য হয়। একটি হচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে পে-প্যাল একাউন্ট। 


ব্যাংক একাউন্ট হিসেবে ব্যাবহার করা হয় ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চের একজন সক্রিয় কর্মী অজন্তা দেব রায় আপা ও ফয়সাল ইফতেখার রাজা ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট এবং পে প্যাল একাউন্ট হিসেবে ব্যাবহার করা হয় মঞ্চের আরেকজন সক্রিয় কর্মী দ্বিগবিজয়ী শুভ ভাইয়ের পে-প্যাল একাউন্ট। ইউকে গণ জাগরন মঞ্চের একজন সমর্থক হিসেবে আমিও আমার ফেসবুকে সকলের কাছে আহবান জানাই যে যেভাবে পারেন অর্থ সাহায্যের জন্য। এটি উল্লেখ্য যে সেই আহবানের শুরুতে ইউকে গণ জাগরন মঞ্চ অর্থ সাহায্যের সময় প্রথমে ২৪ ঘন্টা করে। পরে অবশ্য তিন ঘন্টা বাড়িয়ে দেয় সময়। উদ্যোক্তাদের ইচ্ছে ছিলো এই উত্তোলিত টাকা খুব দ্রুত বাংলাদেশে পাঠাবে এবং সেই সময়ে চলতে থাকা উদ্ধার অভিযানে এই টাকাটা তড়িৎভাবে খরচ করা হবে। কিন্তু প্রথমেই একটি সমস্যা দেখা দেয়। টাকা সংগ্রহ করবার ঠিক পরের দিন ছিলো শুক্রবার, আর তার পরের দিন ছিলো শনিবার। বাংলাদেশে এখন খুব সম্ভবত ব্যাংক বন্ধ থাকে শুক্র আর শনিবারে এবং সংগ্রহ করা অর্থ বাংলাদেশ থেকে উঠাতে পারবে কি পারবে না এটা নিয়ে সকলেই চিন্তায় পড়ে যায়। 


এরই মধ্যে একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার এসে যায় টাকাটা কোন খাতে ব্যাবহার হবে এই কথাটি সামনে রেখে। যেহেতু ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চে অনেকেই রয়েছেন সেহেতু এখানে সকলের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রাথমিক ভাবে এই টাকাগুলো যেভাবে খরচ করা হবে বলে মনে করা হয়েছিলো একটা সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত পালটে যায়। কেননা সে সময় পত্রিকা-খবরে দেখা যায় যে উদ্ধারকাজে এখন আর টাকা লাগবে না। আহতদের পরবর্তী পূনর্বাসনে এই টাকা ব্যয় হলে ভালো হয় বলেই অনেকেই মত দেয়। এদিকে শুরুতে যে পরিকল্পনা হয়েছিলো উদ্ধার অভিযানে এই টাকাটা ব্যয় হবে সেটির কথা চিন্তা করে ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চের একজন কর্মী জয়ন্তা দা এবং  সেখানে থাকা আরো কিছু মহানুভব ব্যাক্তিরা নিজেদের টাকা পয়সা দিয়ে অনেক উদ্ধার সামগ্রী কিনে ফেলেন নিজের টাকা দিয়েই। যেমন রড কাটার ব্লেড, টর্চ, অক্সিজেন, প্রাথমিক ঔষধ ইত্যাদি।  ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ পরে এইটাকা দিতে চাইলেও এইসব ব্যাক্তিরা কোনোভাবেই এইটাকা নিতে অস্বীকৃতি জানান। ধন্যবাদ জানাই তাদের এই মহানুভবতার জন্য। 

এখানে উল্লেখ্য যে ইউকে গন জাগরন মঞ্চের এই কর্মী সাভারের এই ট্র্যাজিক ঘটনার উদ্ধার কাজে ভলেন্টিয়ার হিসেবে তান ৫ দিন টানা কাজ করেন সকাল সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত। তিনিই মূলত আমাদের জানাচ্ছিলেন প্রতি মূহূর্তের আপডেট যে কি হচ্ছে না হচ্ছে কিংবা সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি, ইত্যাদি। এই সময় গুলোতেই গন জাগরন মঞ্চ ইউকে জানতে পারে যে ঢাকার গণ জাগরন মঞ্চও সেখানে কাজ করছে নিরলশ ভাবে এবং ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ ভাবতে থাকে যে এই টাকা গুলো তো ঢাকার মঞ্চকেই দেয়া যায় সেক্ষেত্রে। এরকম ভাবনা থেকেই অজন্তা আপা খুব সম্ভবত নিলয়দা এবং ইমরান এইচ সরকারের সাথে কথা বলেন এবং যে কথা বার্তা হয়েছে সেটির বিবরণ অজন্তা আপার কাছে জিজ্ঞেস করলেই পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।

আমি যেহেতু এই কনভারসেশনে ছিলাম না তাই আমি পুরো ব্যাপারটা জানিনা। সে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে একটা ঘোষনা আসে এই বলে যে এই উত্তোলিত অর্থের মধ্যে এক লক্ষ টাকা ঢাকা মঞ্চকে এবং বাকি টাকা ইরেশ যাকের এর সংস্থাকে দেয়া হবে। আমি করলাম কি গণ জাগরণ মঞ্চের এই স্ট্যাটাস ডাইরেক্ট কপি পেস্ট করলাম এবং যারা সমালোচনা করলেন তারা ভাবলেন আমি ইমরান এইচ সরকারের সাথে কথা বলেছি। আসলে ভুলটা ছিলো আমার। আমার উচিৎ ছিলো সেখানে লিখে দেয়া যে এই স্ট্যাটাসটি কপি পেস্ট করা হয়েছে গন জাগরণ মঞ্চ ইউকের পেইজ থেকে। ইমরান এইচ সরকার যে পরবর্তীতে বলেছেন নিঝুমের সাথে টাকা নিয়ে তার সাথে কথা হয়নি, এটা তিনি আসলে ঠিকি বলেছেন। এখানে এই ভুল বোঝাবুঝিটা হয়েছে আমার এই ভুলটার কারনে। 

এরি মধ্যে এটা নিয়ে অনলাইনে কয়েকজন ব্যাক্তি প্রশ্ন তোলেন, এসব টাকা কোথায় যাবে, না যাবে এসব নিয়ে। নানান ধরনের কথা আসতে থাকে আর ইউকের মঞ্চ আসলে মোটামুটি হতভম্ব হয়ে যায় এই ভেবে যে মানুষের জন্য টাকা তুলেছে, আর্ত মানবতার জন্য টাকা তুলেছে আর সেই টাকা নিয়ে এত কথা, সবাই এক রকমের পিসড অফ হয়ে যায় আসলে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, টাকা আপাতত ইউকে তেই থাকুক আর এর মধ্যে জয়ন্ত পরিস্থিতি জানাক। জয়ন্তের কাছ থেকে, পত্রিকার মাধ্যমে, টিভির মাধ্যমে আমরা এই ভয়ায়বহ ঘটনার খবরগুলো পাচ্ছিলাম এবং একটা পর্যায়ে সকলে মিলেই ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেয় যে পুরো টাকাটি আহতের পুনর্বাসনে দেয়া হবে। যেহেতু এই পুরো সময়টা মূলত আহতদের আইডেন্টিফাই করা হচ্ছিলো, তালিকা তৈরি করা হচ্ছিলো সেহেতু ইউকে গণ জাগরন মঞ্চের কর্মীরা পরিস্থিতি অবজার্ভ করছিলো। সবার ভেতরেই একটা তাগিদ কাজ করছিলো যে কত তাড়াতাড়ি এই টাকা ঢাকায় পাঠিয়ে সাভারের দূর্গতদের সাহায্যে লাগানো যায়।


এভাবে যখন ভিক্টিম আইডেনটি ফিকেশন চলছিলো, সত্যকার অর্থে এই টাকা একটা সঠিক কাজে লাগানো যায় এমন ভাবনা চলছিলো এরি মধ্যে ইউকে গণ জাগরন মঞ্চকে নিয়ে কিছু ব্যাক্তি খামাখাই প্রতিদিন লেখালেখি করছিলেন এই বলে যে এই টাকা দেয়া হচ্ছেনা কেন, টাকা কোথায় গেলো, কি হয়েছে, নিঝুম এই টাকা খেয়ে ফেলেছে, ইউকে গণ জাগরন মঞ্চের কর্মীরা খেয়ে ফেলেছেন, ইত্যাদি... আসলে বলার কিছু নেই শেষ পর্যন্ত। একটা ভালো কাজে ছেলে-মেয়েরা নেমেছে সেখানেও নিস্তার নেই। একটু ঠান্ডা মাথায়, বুঝে শুনে স্থির হয়ে এই টাকাগুলো প্রোপারলি কাজে লাগাবে এমন পরিকল্পনাই করছিলো ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ। এতে করে যে ব্যাক্তির সত্যকারের সাহায্য প্রয়োজন, সত্যকারের উপকৃত হবে সেটিই মূলত নিশ্চিত হবে এমনটাই মঞ্চের কর্মীরা ভেবেছিলেন।

যে ছেলেগুলো ইন্টারনেটে সারাদিন পড়ে থাকত, গান শুনত, আড্ডা দিত, সিনেমা দেখত, পড়ালেখা নিয়ে ব্যাস্ত থাকত, ইউনিভার্সিটি, কলেজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকত সেই ছেলে মেয়েগুলো গত ৮-ই ফেব্রুয়ারী থেকে দেশের টানে রাস্তায়। একের পর এক তারা দেশের জন্য করে যাচ্ছে। কিন্তু পদে পদে তারা এই অভিজ্ঞতাই পাচ্ছে যে, এই দেশের জন্য করতে গেলে কেউ না কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেই। ল্যাং মেরে ফেলে দেবেই। এটাই হয়ত ট্রেন্ড। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জানিনা এই ছেলে মেয়েগুলো আর দেশের জন্য কিছু করবার স্পৃহা পাবে কি পাবে না সামনের দিনগুলোতে, বাট এই সম্ভাবনাময় মুকুল গুলো ঝরে গেলে আমি আসলেই কষ্ট পাব। অনেক দিন ধরেই স্বপ্ন দেখেছিলাম এই ধরনের কিছু তরুন-তরুনীরা আমাদের স্বপ্ন দেখাবে।

সর্বমোট যে টাকা সাহায্য হিসেবে এসেছে

সাভার দূর্গতদের জন্য মোট উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ ৪৩৯৫ পাউন্ড ১৯ পেন্স। কারা কারা অর্থ দিয়েছেন এবং টাকার পরিমাণ জানতে ও দেখতে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন দয়া করে।

যাই হোক, যা বলছিলাম। শেষ পর্যন্ত সাভারের জন্য উত্তোলিত অর্থ কি করে খরচ হোলো সেটি জানাই। সাভারের দূর্গতদের জন্য মোট সাহায্যের পরিমাণ এসেছে ৪৩৯৫ পাউন্ড ১৯ পেন্স

এই টাকার মধ্যে ৮৪৫ পাউন্ড ৬০ পেন্স পাঠানো হয় পাউন্ড প্রতি ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা রেটে। বাংলাদেশ থেকে এই পাউন্ডের মূল্যমান টাকা সংগ্রহ করা হয় মোটঃ ১ লক্ষ ১ টাকা ৫১ পয়সা। ইউকে থেকে পাঠাবার তারিখঃ ২৯-৪-২০১৩, বাংলাদেশ থেকে রিসিভ করবার তারিখঃ ১২-০৫-২০১৩ [ যিনি টাকা রিসিভ করেছেন তিনি তার পারিবারিক কারনে ঢাকার বাইরে ছিলেন বলে অর্থ তুলতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিলো] ইউকে থেকে পাউন্ড পাঠাবার ফিস ছিলো ১৫ পাউন্ড ৯৯ পেন্স।

আবার গত ২২-০৫-২০১৩ তারিখ ইউকে থেকে পাঠানো হয় ৩৫৩৩ পাউন্ড ৬০ পেন্স যার পাউন্ড প্রতি টাকার রেট ধার্য হয় ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ থেকে এই পাউন্ডের মূল্যমান টাকা সংগ্রহ করা হয় মোটঃ ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৭৪০ টাকা ৩৯ পয়সা। এই টাকা পাঠাতে ইউকে থেকে ফিস লাগে ২০ পাউন্ড ৯৯ পেন্স।

তাহলে ইউকে থেকে মোট দেশে গেলোঃ 845.60+ 3533.60= 4379.20 Pounds 
ইউকে থেকে এই পাউন্ড পাঠাবার খরচঃ 15.99+ 20.99=      36.98     Pounds
---------------------------------------------------------------------------------------------
Total Amount:                                                               4,416.18  Pounds

[উল্লেখ্য যে  দুইটি ডিফারেন্ট টাকার রেটে পাঠানো হয়েছিলো এবং উত্তোলিত অর্থের থেকেও আরো ২০ পাউন্ড ৯৯ পেন্স দিতে হয়েছে]

তাহলে বাংলাদেশ থেকে মোট সংগ্রহ করা হয়েছেঃ 

১ম দফায়ঃ 1,00001.51 Taka
২য় দফায়ঃ 4,05740.39 Taka
----------------------------------------------------
Total:       505741.90 Taka

এই টোটাল যে টাকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে সেই টাকার সাথে আরো এক হাজার টাকা যোগ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউকে গন জাগরণ মঞ্চের কর্মী জয়ন্ত বিশ্বাস। আপনারা শুনলে আনন্দিত হবেন যে জয়ন্ত এই এক হাজার টাকা সাভারে দূর্গতদের সাহায্য করবার জন্য যে পুরষ্কার পেয়েছে কর্ণেল মুজিব ফাউন্ডেশন থেকে সেটাই সে এই পুরো টাকার সাথে যোগ দিয়েছে। তাহলে দান করা মোট টাকার পরিমান দাঁড়ায়ঃ ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৭৪২ টাকা।

কাকে দেয়া হয়েছে সাভারের জন্য এই উত্তোলিত অর্থঃ

এই উত্তোলিত অর্থ আমরা দিয়েছি স্নেহা ফাউন্ডেশন নামের একটি চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশনকে। অনেকগুলো অর্গানাইজেশনের সাথে কথা বলে ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই অর্গানাইজেশনটি-ই সবচাইতে বেস্ট। স্নেহা অর্গানাইজেশন সম্পর্কে জানতে এখানে দেখুন।  এবং তাদের ফেসবুক পেইজ পাবেন এখানে

স্নেহা ফাউন্ডেশন এই টাকা পাবার পর তাদের ফেসবুক স্টেটমেন্টও দিয়েছে। তারা বলেছে-
Babul Hossain's daughter Hashi is 8 years old. This little kid doesn't fully understand that her dad has been missing for over a month now and the ultimate dreadfulness of that reality. Gonojagoron Moncho, UK has partnered with Sneha in supporting 5 families in seeing them through till the end of the year, and hopefully, up to the beginning of some new hope. Babul Hossain's family is one of those 5.
Selina and Shahadat's son Bijoy's [8] life has been rattled by losing both the parents at the same time in this tragedy. While nothing can bring solace to this child, Gonojagoron Moncho, UK [Jayanto & Kamrul] have tried their best by donating to Sneha's children support fund and help 5 families worry a little less about money for 1 full year.We can't take away their pain... we can keep standing by them when they cry and slowly... let time heal





এই অর্গানাইজেশনকে দেয়া চেক ও প্রত্যয়ন পত্রের ছবি নীচে দেয়া হোলোঃ


স্নেহা ফাউন্ডেশনকে দেয়া ৫ লক্ষ ৬ হাজার সাতশ বেয়াল্লিশ টাকার চেক


স্নেহা ফাউন্ডেশনের দেয়া প্রত্যয়নপত্র



ইউকে থেকে যে টাকা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে তার রিসিপ্টঃ


প্রথম দফায় যে অর্থ প্রেরিত হয়েছিলো ইউকে থেকে তার রশিদ
দ্বিতীয় দফায় যে অর্থ প্রেরিত হয়েছিলো ইউকে থেকে তার রশিদ

প্রথম দফা পাঠানো পাউন্ড বাংলাদেশ থেকে রিসিভ করেন জয়ন্তদা, সেটির রশিদ


ইউকে গণ জাগরণ মঞ্চের কর্মী জয়ন্ত বিশ্বাস শুভ্র সাভারে দূর্গত মানুষদের উদ্ধার কাজে টানা ৫ দিন কাজ করেছিলেন। অনলাইনে বসে বসে মানুষের পা টানা, ট্রলিং করা কিংবা নোংরামীর চাইতে এই মঞ্চের তরুন মানুষকে বাঁচানোটাই শ্রেয় মনে করেছিলো। সেটির পুরষ্কারও জয়ন্ত পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়েছেন এবং কর্ণেল মুজিব ফান্ডেশন থেকে সার্টিফিকেট এবং মেডেল ও ১ হাজার টাকা পেয়েছেন। এই ১ হাজার টাকা জয়ন্ত সাভার দূর্গতদের জন্য দান করে দিয়েছেন। নীচে জয়ন্তের প্রাপ্ত সার্টিফিকেট ও মেডেলের ছবি দেয়া হোলোঃ


সাভারে দূর্গত মানুষদের উদ্ধার কার্যে নিয়োজিত ছিকেন গণ জাগরণ মঞ্চ ইউকে'র কর্মী জয়ন্ত বিশ্বাস। তাঁর সেই মহান কাজের পুরষ্কার তিনি পেয়েছেন এভাবেই রিকগ্নিশনের মধ্য দিয়ে। অভিনন্দন জয়ন্তদাকে

সবশেষে সেইসব মহানুভব মানুষদের ধন্যবাদ জানাই যারা সাভারের এই দূর্গত মানুষদের সাহায্য করবার জন্য এগিয়ে এসেছেন, মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা।


2 comments:

  1. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের এভাবেই আওয়ামীলীগের কিছু স্বার্থানেসী মহল এভাবেই আড়াল করে ফেলে। এক নিঝুমদা সমান যেখানে কয়েক ব্যাটেলিয়ন জামাতী আর বি এন পি সেখানে এমন যোদ্ধাকে এভাবে জামাতী আর ফ্রিডিম পার্টি প্রমাণ করাতে লাভ কার? সব কিছু নষ্টদের অধিকারে গেসেগা।

    ReplyDelete
  2. টেকা টুকা গাপ, তোর ............... :P

    ReplyDelete