Thursday 29 October 2015

সাকা'র পাকি বন্ধুদের এফিডেভিটঃ একটি ভয়াবহ অসংগতির প্রমাণ

এরই মধ্যে যারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে আমার নিজের ব্লগে কিংবা ফেসবুকে নানাবিধ লেখা দেখেছেন তারা হয়ত জানেন যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলাটি নিয়ে আমি নানাবিধ আঙ্গিকে লেখা লিখেছি এবং আপনাদের নানাবিধ তথ্য দেবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজকে আমার চোখে এক মারাত্নক ব্যাপার ধরা পড়লো। এই তথ্যটি এসেছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিতে চাওয়া ৫ জন পাকিস্তানীর মধ্যে দুইজনের এফিডেভিট আরো একবার ভালো করে পড়বার পর।


এই দুইজন ব্যাক্তির নাম হচ্ছে ইসহাক খান খাকওয়ানি এবং রিয়াজ আহমেদ নুন।

এর আগে আপনাদের আমি এই প্রত্যেক পাকিস্তানীদের এফিডেভিট উল্লেখ করে কার এফিডেভিটে কি কি দূর্বলতা রয়েছে সেটির একটা সিনোপসিস টেনেছিলাম আমার আগের লেখায়। কিন্তু আজকে পুনরায় সেসব এফিডেভিট আরো সুক্ষ্ণ ভাবে পড়তে গিয়ে হঠাৎ করে এমন একটি বিষয় নজরে আসলো যেটি আগে চোখে পড়েনি।

Saturday 17 October 2015

সাকার পক্ষে ৭ পাকিস্তানীর সাক্ষীঃ যে কারনে গ্রহনযোগ্য হবে না

সাকার পক্ষে নিয়োজিত লবিস্ট ডক্টর কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান আদা জল খেয়ে নেমেছেন এবং প্রশ্ন করছেন যে একাত্তরের ঘাতক সাকার চৌধুরীর পক্ষে পাকিস্তান থেকে দেয়া ৭ জন ব্যাক্তির এর এফিডেভিট কেন আমলে নেয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্নটা যেভাবে উত্থাপিত হয় সেটি এরকম-



আদালতে সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ না পাওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা সাতজন সাক্ষীর এফিডেবিট আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন, যারা নিশ্চিত করেছেন যে যুদ্ধচলাকালীন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন। সেই এফিডেবিটগুলোকে ট্রাইবুনাল খারিজ করে দেয়নি, কিন্তু যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি এই অযুহাতে সেগুলো আমলে নেয়নি। কেন?

আমি আমার এর আগের অনেক লেখার মধ্যে আগেই বলেছি, আইনে যে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া বলা রয়েছে সেভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করতে হবে, মানে আইনের ৯(৫) ধারা মোতাবেক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালস আইনের ৯ এর উপধারা ৫ এ বলা রয়েছে-


(5) A list of witnesses for the defence, if any, along with the documents or copies thereof, which the defence intends to rely upon, shall be furnished to the Tribunal and the prosecution at the time of the commencement of the trial.