Thursday 24 March 2016

বিচার হতে কেন ৩৯ বছর গড়ালো? অনুসন্ধান পর্ব-১





আমি মুক্তিযুদ্ধের দশকের ঠিক শেষে জন্ম নেয়া একজন যুবক। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা আমাকে সরাসরি না ছুঁয়ে গেলেও আমি সেটি অনুভব করতে পারি পারিবারিক নানা ঘটনার কারনেই। বাবার মুখ থেকে শোনা ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের উপর বই-পত্র, দলিল-দস্তাবেজ পাঠ সহ এই ব্যাপারে যৎসামান্য আমার যা পড়াশোনা আছে আমি সেই আলোকেই মূলত মুক্তিযুদ্ধকে নিজের ভেতর আত্নস্থ করেছি কিংবা করবার চেষ্টা করেছি ও করছি। একজন আইনের ভুবনের সামান্য মানুষ ও আইনের ছাত্র হিসেবে আমি বরাবর আগ্রহী ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পর পর কেন রাজাকার-আলবদরদের বিচার শেষ পর্যন্ত আর হয়ে উঠেনি সেই ব্যাপারটি নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে আমি আমার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি, আমি প্রশ্ন করেছি, আমি অনুসন্ধান করেছি। অনেক কিছু জেনেছি আমি আবার অনেক কিছু আজও জানিনা।

ফেসবুকের একটি নোটের কলেবর দীর্ঘ করাটা অনুচিৎ। সে কারনেই হয়ত আমি খুব দীর্ঘ কিছু লিখতে পারব না এখানে অথবা এখানে হয়ত অতটা বিস্তারিত কিছুই লেখা যাবেনা কিন্তু তারপরেও আমি এই বিচারের শুরু নিয়ে আমার অনুসন্ধানের প্রথম পর্বের সূত্রপাত করতে চাই এই নোটের মাধ্যমে।[ মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই ঘাতক-দালালদের বিচারের পুরো বিষয় নিয়ে একটি সেমি- আইনী বই প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আশা করি সেই দীর্ঘ কলেবরের বইয়ে আরো বিস্তারিত থাকবে] আমার জ্ঞান যেহেতু বই-পত্র, সে সময়ের মানুষের অভিজ্ঞতার বর্ণন, স্মৃতিচারণ কেন্দ্রিক সুতরাং এই লেখাটা “একেবারে সঠিক” এটা বলা যাবেনা কোনোভাবেই। তথাপিও আমি আমার নিজস্ব অনুধাবনের উপর আস্থা রেখেই লিখছি। প্রাপ্ত তথ্য আর উপাত্তকে সৎভাবেই বর্ণনা করবার চেষ্টা করেছি আমি।


যেহেতু বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ২৫ শে মার্চ তারিখ থেকে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শুরু করেছে সেহেতু আমি মূলত আলোচনা করব ২০১০ সালের আগের ৩৯ বছর নিয়ে। মূলত এই পর্বে সূচিত করবার চেষ্টাই থাকবে ১৯৭২ সালের দালাল আইন নিয়ে, দালাল আইনে বিচার শুরুর প্রাক্কালের ঘটনা এবং পরবর্তীতে নানাবিধ ঘটনা নিয়ে।

Wednesday 23 March 2016

প্যারাসিটেমল দুই বেলা

তনুর ইস্যুটি ঠিক কতদিন ফেসবুকে থাকবে? খুব বেশী হলে আজকের বাংলাদেশ ভারত ম্যাচটির আগ পর্যন্ত কিংবা আরো জোরে গেলে আগামী শুক্রবারের জুম্মা পর্যন্ত। জুম্মা পর্যন্ত বলছি এই কারনে যে, আসছে জুম্মার পর হেফাজত ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বজায় রাখবার ব্যাপারে কেওয়াজ করবে বলে শুনেছি, সেই ডামাডোলে তনু হারাবে "আরেকটা ধর্ষন ঘটনার" মত, পুলিশের তদন্তের খাতায়।

ধর্ষনের সেঞ্চুরিয়ান জাহাঙীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী নেতা মানিকের কি হয়েছিলো কিংবা স্বাধীনতার পর গত সাড়ে চার দশকের যত ধর্ষন হয়েছে সেটির ব্যাপারে? কল্পনা চাকমার গুম ও খুন নিয়ে কি হয়েছিলো? মনে আছে নাকি সেই কল্পনার কথা? 

মনে আছে রাজবাড়ীতে ধর্ষনের পর শিশু হত্যার কথা? শিশু অর্ণব হত্যার কি হয়েছে? নামটাও আজকে মনে নেই। দেখেন অবস্থা। ওই যে ধর্ষনের পর নদীর ধারে পড়ে ছিলো মেয়েটি। কি যেন নামটা ছিলো তাঁর? 

পাবনায় খৃষ্ঠান পাদ্রী হত্যার চেষ্টা, হিন্দু মঠের অধ্যক্ষ কে হত্যা...কি হয়েছে? ২০০১, ২০০৯,২০১৪ এর নির্বাচনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার। সেগুলোর কি হয়েছে?

Tuesday 22 March 2016

একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে মুসলিম আইডেনটিটির অপঃব্যবহার- পর্ব-৩




(খ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার ও সেখানে মুসলিম আইডেনটিটির অপঃ ব্যবহার

এই লেখাটির ১ম পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে
এই লেখাটির ২য় পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে

বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত বর্বর গণহত্যার সাথে বাংলাদেশের যে সকল দালাল তথা রাজাকার,আল-বদর, আল-শামস এবং ইন্ডিভিজুয়াল যেসব ব্যাক্তি এই গণহত্যা এবং সেসময়ে এই যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো, তাদের বিচার বাংলাদেশ সরকার একটি নিরপেক্ষ ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে অত্যন্ত সুচারু ও সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি মুক্ত রেখে শুরু করেছে। ২০১০ সালের ২৫ শে মার্চ একটি গেজেট নোটিফিকেশানের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে ট্রাইবুনাল এবং ২৬ শে জুলাই ২০১০ সালে শুরু ট্রাইবুনালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। এই ট্রাইবুনাল যেই আইনে পরিচালিত হচ্ছে, সেই আইনের নাম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন-১৯৭৩। গত ২৫ শে মার্চ ২০১৬ সালে এই ট্রাইবুনালের বয়স গিয়ে দাঁড়ালো ৬ বছর।

এই বিচারটি শুরু হয়েছে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনপূর্ব প্রতিশ্রুতি হিসেবেই। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে এই রকমের যে একটি বিচার করবার জন্য একটি সরকারকে যেমন নিবেদিত প্রাণ, দক্ষ হতে হয় তার শতকরা ত্রিশ ভাগও এই সরকার দেখাতে পারেনি। 

এই আইন সম্পর্কে কিংবা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের সম্পর্কে (সাবেক) আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, এক সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মইনুদ্দিন খান আলমগীর, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, মতিয়া চৌধুরীকে নানান যায়গায় যেসব কথা বার্তা, বিবৃতি দিতে দেখেছি যেগুলো একটা পর্যায়ে বিচারিক ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরী করেছে। এমনকি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও মতিয়া চৌধুরী ট্রাইবুনাল বিষয়ক নানান বক্তব্যের জন্য ট্রাইবুনালের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন আপীলেট ডিভিশানের বিচারপতিদের নিয়ে যেই মন্তব্য করেছেন এই বিচার বিষয়ক কিছু ইস্যুওকে কেন্দ্র করে সেটির জন্য দু’জনেরই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়েছে এবং তাঁদের মন্ত্রীত্ব এখন প্রায় যায় যায় অবস্থায় রয়েছে।

উপরে যে বলেছি দক্ষতার কথা কিংবা নিবেদিত প্রাণের কথা সেটি বলছি এই ট্রাইবুনালকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ব্যাপক আকারে মিথ্যাচার ও তার প্রেক্ষিতে সেটি ঠেকাতে সরকারের ব্যার্থতার পুরো ব্যাপারটি মাথায় রেখেই। মুক্তিযুদ্ধের পর যেখানে জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ কিংবা বেগম খালেদা জিয়ার আমলে মুক্তিযুদ্ধকালীন দালাল ও রাজাকার রা পুনর্বাসিত হয়েছে ও সেইসাথে মন্ত্রীত্ব পেয়েছে, জাতীয় সংসদে গিয়েছে সেখানে এটা আওয়ামীলীগ সরকারের সহজেই অনুমান করা উচিৎ ছিলো যে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৩৯ বছর পর এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যথেষ্ঠ সংঘবদ্ধ হয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রকট আকার ধারন করেছে। 

Monday 21 March 2016

একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে মুসলিম আইডেনটিটির অপঃব্যবহার- পর্ব-২

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দুই সময়ের বিচার পর্ব এবং সেখানে মুসলিম আইডেনটিটির ব্যবহার


এই লেখাটির ১ম পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে একদিকে যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের অনুসারীদের বক্তব্য ও চিন্তা করবার ভিন্নতা রয়েছে তেমনি সেটির সূত্র ধরে ঐতিহাসিক বিষয়াদির গুরুত্বও অনস্বীকার্য। এই অঞ্চলে ধর্মকে কতটা গুরুত্বপূর্ন করে দেখা হয়, এটার রাজনৈতিক অবস্থান, মেরুকরন ও রাজনৈতিক তারতম্যের কারনে ধর্মের অবস্থান ও জনতার ভাবনা প্রতিটি বিষয়-ই আসলে আলোচিত হওয়া একান্ত জরুরী। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে হয়ত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে অখন্ড পাকিস্তানে ধর্ম ব্যাপারটি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। গুরুত্বপূর্ণ থাকলেও ধর্মের প্রতি আনুগত্য, মানবার প্যাটার্ন, ধর্ম পালন করবার রীতির মধ্যে ফারাক ছিলো দুই খন্ডের পাকিস্তান ভেদে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে পশ্চিম পাকিস্তান ঘোষনা দিয়ে হয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র আর পূর্ব পাকিস্তান মানে বাংলাদেশ হয়েছে অসাম্প্রদায়িক মোনোভাবাপন্ন একটি রাষ্ট্র যেই রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতির একটি নীতি-ই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। 

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মকে সমীহ ও ধর্মকে যথাযথ পবিত্রতার মাধ্যমে পালন করলেও অধিকাংশ মানুষ ধর্ম নিয়ে কখনোই বাড়াবাড়ি করেনি কখনো। আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছে সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়েই। উল্লেখিত সেই সহযোগী বাহিনী, ব্যাক্তি ও তাদের অনুসারীরা ছাড়া আর কেউই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ধর্মকে কখনোই এই যুদ্ধের প্রধান বিষয় বলে মনে করেনি কিংবা কখনোই মনে করেনি এই যুদ্ধ ভারতের চাল বা ছল, এমনকি এই যুদ্ধে বাংলাদেশ আলাদ রাষ্ট্র হলে ইসলাম বিপন্ন হবে কিংবা পাকিস্তান ভেঙ্গে গেলে ইসলাম শেষ হয়ে যাবে এমন কথাও সাধারণ মানুষ চিন্তা করেনি।

Sunday 20 March 2016

একাত্তরের ঘাতকদের বিচারে মুসলিম আইডেনটিটির অপঃব্যবহার- পর্ব-১

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী নানাবিধ বাহিনী। খুন করে ৩০ লক্ষ কিংবা তারও অধিক সাধারণ বাংলাদেশীকে এবং লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে প্রায় ৪ লক্ষ কিংবা তারো বেশী নারী ও শিশুকে। পাকিস্তানী বাহিনীর যে হত্যাযজ্ঞের ব্যাপকতা ও পুরো ছক, সেই সমগ্র ছকের আওতায় সে সময় বাংলাদেশেরই কিছু রাজনৈতিক দল, ব্যাক্তি, গোষ্ঠী এই বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে সে সময় এই গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যদি প্রধান সহযোগী হিসেবে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম বলা যায় তবে বলা যেতে পারে জামায়াতে ইসলামী, নেজাম-ই-ইসলামী, পাকিস্তান মুসলিম লীগ এবং পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)এর কথা। 

মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে এই রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাংখীরা মিলে এই বাংলাদেশেই মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে তোলে নানা প্রকারের বেসামরিক, আধা সামরিক, ডেথস্কোয়াড সহ আরো নানাবিধ বাহিনী। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে এই সমন্বিত দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের একাত্নীকরণের উদ্দেশ্য ছিলো একটাই আর সেটি হচ্ছে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ বাংলাদেশীদের হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে এই বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্ব বজায় রাখা।

একটা বিশেষ লক্ষ্যনীয় ব্যাপার এই ক্ষেত্রে মনে রাখা খুব প্রয়োজনীয় যে মুক্তিযুদ্ধকালীন কিংবা তারও আগে এই পুরো পাকিস্তান রাষ্ট্র উৎপত্তি পূর্বক যে রাজনৈতিক, আদর্শিক কিংবা চিন্তার নানাবিধ প্যাটার্ন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম সেখানে ধর্ম একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে উঠে এসেছে।

Saturday 12 March 2016

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও গুরুত্বের বিকৃতি বিরোধী আইনঃ কেন চাই?

সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র ভাবে দাবী উঠেছে “জেনোসাইড ডিনায়াল আইন” এই শিরোনামে বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের। মূল আলোচনায় যাবার আগে প্রথমেই এই আইন প্রণয়ন করবার দাবী আর সেটি যে শিরোনামে জন সাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সেটির সাথে আমি বিনীত ভাবে দ্বিমত পোষন করি। 

জেনোসাইড শব্দটি বর্তমানে ইংরেজী লক্ষাধিক শব্দের একটি শব্দ হিসেবে বিবেচিত হলেও এটির ধারনা বলা যেতে পারে সাম্প্রতিক। ১৯৪৪ সালের আগে এই শব্দটির-ই ব্যবহার ছিলোনা। পোলিশ আইনজীবি রাফায়েল লেমকিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ হত্যাকান্ড আর নৃশংস তান্ডব দেখে এই সম্পূর্ণ হত্যাকান্ডকে “জেনোসাইড” শব্দের মাধ্যমে নাম করন করেন। গ্রীক এবং ল্যাটিন এই দুইটি ভাষার ভিন্ন ভিন্ন শব্দ নিয়ে জেনোসাইড এখন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও বোধগম্য শব্দ। একটি সুনির্দিষ্ট জাতি, গোষ্ঠী, আদর্শের মানুষদের হত্যাকরার ঘটনাকেই এই একটি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। লেমকিনের নিজের ভাষায়, 

“a coordinated strategy to destroy a group of people, a process that could be accomplished through total annihilation as well as strategies that eliminate key elements of the group's basic existence, including language, culture, and economic infrastructure.”