Thursday 2 July 2015

সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি কি তবে জামাতের বলি হলেন?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের অধীনে বিভিন্ন ধরনের ঘৃণ্য কর্মকান্ডের দায়ে আটক দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে আসা সাফাই সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি গত ৫ ই নভেমবর ২০১২ তে অপহৃত হয়েছে বলে এক ধরনের কথা উঠেছে চারিদিকেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ নানান ইংরেজী ব্লগে জামাতের লবিইস্টরা বলে বেড়াচ্ছে যে সুখরঞ্জন বালিকে নাকি ট্রাইবুনাল বিল্ডিং এর সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়েছে সাদা পোশাকের প্রায় ১৫ জনের মত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর এদিকে ডিফেন্স এই ব্যাপারটিতে প্রসিকিউশনকেও যখন জরাতে চাইলো তখন প্রসিকিউশন এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করে এবং সেক্ষেত্রে সব কিছু দেখে, শুনে প্রসিকিউশনের বক্তব্য আমার কাছে যৌক্তিক বলেই মনে হয়েছে । এই সুখরঞ্জন বালির অপহরণের ধুয়ো তুলে হঠাৎ করেই এই ট্রাইবুনালের বিরোধী সকল শক্তিরা একে একে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তারা তাদের পুরোনো সেই সুর “ট্রাইবুনাল অভিযুক্তদের দমিয়ে রাখছে” এই প্রোপাগান্ডাটি বাঁচিয়ে রেখেছে নতুন একটা ঘটনার মাধ্যমে। একজন অবজার্ভার হিসেবে আমি পুরো ব্যাপারটিকে একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টি থেকেই দেখবার চেষ্টা করেছি এবং কিছু সিদ্ধান্তে এসেছি।

আসুন একে একে পুরো ব্যাপারটি জানি। প্রথমেই জেনে নেই সুখরঞ্জন বালিকে নিয়ে কি বলছে অভিযুক্ত সাঈদীর আইনজীবিরাঃ 

গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, 'সুখরঞ্জন বালি আমার সঙ্গে গাড়িতে করে আসছিলেন। সে সময় প্রায় ১৫ জন পুলিশের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা তাঁকে আমার গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে গেছে"

আর অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ কি বলছে আসুন জানি- খুব ভালো করে রাষ্ট্রপক্ষের এই প্রেস ব্রিফিং টি আমরা লক্ষ্য করি-


In recent times the Defense Counsel are creating a confusing situation in the Tribunal by their unprofessional activities and have forgotten their professional responsibility because most of those appointed defense counsel are involved with the politics of Jamaat Islami. They are not hesitating to use the elected representative lawyers association in assisting their activities. In the recent time during the argument time of a certain case, in relation to a witness who is not the defense witness and whose family has lodged a G.D against the defence, on 5 November they made a so-called drama of kidnapping that witness in the gate of Tribunal and by this issue some Defense Counsel of Tribunal-1 have tried to create a confused situation in Tribunal, then Tribunal has taken proper steps against them according to the law in 6 November.

Dear journalist friends, When the defense witnesses were giving their statement and Prosecution were cross-examining them in the case of Delawar Hossain Saydee, most of the Defense Witnesses said that how, with whom and whose assistance, they have come to give testimony in the Tribunal. Prosecution team can say strongly that no Prosecution Witness told in their statement or in the time of cross-examination that they came with Prosecution or his car to give testimony in the Tribunal. All the people of the country have known by you that last 5 November Jamaat Islami and Islami Chatra Shibir have operated destructive activities, attacking upon police, hijacking the arms of police, burning and breaking the law and order by causing damage to human life and goods for dismissing the trial proceeding and releasing their leaders. That certain day was not fixed for that witness and it is created question in the mind of all about taking steps for bringing Sukhranjan Bali by the car of Defense Counsel Mizanul Islam in the Tribunal as Defense Witness. That Sukhranjan Bali was missing from his area in last four months and a G.D was lodged by his family about him being missing and Defense Counsel Mizanul Islam has cross-examined the Prosecution Witness about this G.D, then as a lawyer it was his responsibility to inform law enforcing body and present him in the Tribunal by the help of them when he got Sukhranjan Bali but he did not do that, so it is amazing, mysterious, unbelievable and for special purpose, for that their claiming of Kidnapping Sukhranjan Bali is not acceptable. It has been proved to every rational and sensible people of the country that unacceptable drama of Defense Counsel about kidnapping witness and destructive activities of Jamaytee Islami and Chatra Shibir in outside the Tribunal, are the part of trying to dismiss the Tribunal and releasing their leader unlawfully by postponing trial proceeding and Defense Counsels will not avoid the responsibility of those destructive activities.


In this situation, we are calling all to perform professional responsibility more carefully for protecting the holiness of the Tribunal and to become more reliable in establishing Human Rights and Rule of Law.

Thanks by Advocate Golam Arif Tipu Chief Prosecutor International Crimes Tribunal Bangladesh.


শুধু এই ব্যাপারটিতেই যে এই ঘটনাটি শেষ হয়ে গিয়েছে তা কিন্তু নয়। ডিফেন্স টিম এই বালি উধাও হয়ে যাওয়াতে পুরো দোষ চাপালো প্রসিকিউশনের উপর। বললো যে প্রসিকিউশন টিম নাকি এই উধাও হয়ে যাবার সাথে যুক্ত। এখানে কয়েকটি কথা না বললেই নয়,

প্রথমতঃ 

দেইল্যা বা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে এই যে প্রায় ১৫ জনের মত সাক্ষী এসে সাক্ষ্য দিলো কারো বিরুদ্ধে গুম বা উধাও হয়ে যাবার ঘটনা ঘটেনি, সেখানে সাঈদীর সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নেবার পরে যেখানে আর কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়াই হচ্ছে না সেখানে সুখরঞ্জন বালি কিসের সাক্ষী দিতে এসেছেন? এই একই প্রশ্নের সাথে আমার আরো প্রশ্ন জাগে, তা হোলোঃ সুখ রঞ্জন বালির নাম ৫ ই নভেম্বরের সাক্ষ্য তালিকায় নেই, ট্রাইবুনাল এই নামে কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যের আগমনের কোনো খবরই জানেনা, কেননা সাঈদীর পক্ষে ও বিপক্ষে সব ধরনের সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ২৩ শে অক্টোবর। ৫ ই নভেম্বর দুই পক্ষের সমাপনী যুক্তি তর্কের দিন ধার্য ছিলো।


দ্বিতীয়তঃ 

যদি ধরেও নেই যে ডিফেন্স টিম নতুন সাক্ষীর জন্য আবেদন করেছেন কিংবা নতুন কোনো পিটিশান করেছেন সেক্ষেত্রেও পিটিশানের উপর হিয়ারিং আগে হবে। তারপর যদি সাক্ষী আনার মত অবস্থার দরকার হয় বা ট্রাইবুনাল বলে সেক্ষেত্রে সাক্ষী আসতে পারলেও পারতে পারে। এছাড়া যদি নতুন করে সাক্ষী আনবার জন্য আবেদন করে থাকে ডিফেন্স সেক্ষেত্রেও আদালত আগে সেই আবেদন শুনবেন তারপর অনুমতি দিবেন। কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই পিটিশানের আবেদন করেই কিংবা হিয়ারিং এর আবেদিন করেই সাক্ষীর আগমন? ব্যাপারটা কি সন্দেহের নয়?


তৃতীয়তঃ 

এই যে সুখরঞ্জন বালির কথা বলা হচ্ছে সেই সুখরঞ্জন বালি মূলত প্রসিকিউশনের সাক্ষী ছিলেন। তিনি সাঈদীর মামলায় প্রথমে তদন্ত দলের কাছে জবানবন্দী দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তার সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে আসবার কথা ছিলো। অথচ সাক্ষ্য প্রদানের কিছুদিন আগের থেকেই এই সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং তার কোনো রকমের ট্রেস পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমত অবস্থায় বালির পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে মনিকা রাণী মন্ডল অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে থানায় একটি জিডি করে। জিডির নাম্বার হচ্ছে জিডি-৭১৩। এই জেনারেল ডাইরী টি করা হয় ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ২০১২ সালে। যে থানায় করা হয় সে থানার নাম ইন্দুর কানি (অনেকে জিয়া নগর নামেও চেনে)।

একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, এই নিখোঁজ হবার প্রেক্ষিতেই কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন করে যে বিশেষ সারকমাস্টেন্সের প্রেক্ষিতে সাক্ষীকে আনা যাচ্ছেনা তাই যাতে সাক্ষীর জবানবন্দীকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ট্রাইবুনাল সুখরঞ্জন বালির ক্ষেত্রে এই আবেদন গ্রহন করে। এদিকে লন্ডনের একটি টকশোতে সাঈদীর আইনজীবি তাজুল ইসলাম আমার সাথে একটি লাইভ টকশোতেও বলেন যে এই সাক্ষীদের ট্রাইবুনাল কেন আনতে পারছে না, এটা তাদের ব্যার্থতা ইত্যাদি, ইত্যাদি...। অথচ পাঠক লক্ষ্য করুন- যেই ডিফেন্স পক্ষ এই কথা বলছে, সেই ডিফেন্স পক্ষই কিন্তু এই সুখরঞ্জন বালিকে আদালতে সাক্ষীর জন্য নিয়ে এসেছে। অথচ এইদিকে তাকে খুঁজবার জন্য থানায় জিডি হয়েছে। এটাতো স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে একজন নিখোঁজ ব্যাক্তিকে যদি কেউ পেয়ে যান তবে তা পুলিশকে জানাতে হবে, কেননা তিনি কি বেঁচে ছিলেন, না খুন হয়ে গিয়েছেন, না দূর্ঘটনা ঘটেছে, না তার কোনো বিপদ হয়েছে এটি তো কেউ জানতেন না। সুতরাং এমত অবস্থায় এই ব্যাক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে পুলিশে হস্থান্তর না করাটাই কি বেয়াইনী নয়? যেহেতু বালির ব্যাপারে থানায় জানানো হয়েছে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে, সেই বালিকেই যখন খুঁজে পাওয়া গেলো তখন আসামী পক্ষের আইনজীবি তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ না করে নিজের গাড়িতে বসিয়ে কোর্টে নিয়ে এলো? 

আর এইদিকে তাদের ডিফেন্স টিমের আইনজীবি লাইভ টিভিতে সাক্ষী কেন আসছে না, কিংবা প্রসিকিউশন কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না, এই বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে? এই পুরো ব্যাপারটিতে তাহলে কি প্রমাণিত হয়, এটাকি ডিফেন্স টিমের একটা সাজানো নাটক নয়? এটা কি প্রমাণিত নয় যে ডিফেন্স প্রসিকিউশনের সাক্ষেকে লুকিয়ে রেখে ন্যায় বিচার হওয়া থেকে ট্রাইবুনালকে বিরত রাখছে? এটা কি ট্রাইবুনালের বিচার কার্যে বাঁধা নয়?

চতুর্থতঃ 

তাজুল ইসলাম একটি টিভি সাক্ষাৎকারে অন্য আরেকজন প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে (সাক্ষী গনেশ) আসামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাবস্থা করে গোপনে। এই সাক্ষাৎকারে তাজুল বলে, “ রাষ্ট্রের হাতে অর্থ, রাষ্ট্রের হাতে ক্ষমতা, তাদের হাতেই সব, সেক্ষেত্রে তারা কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না?” [নীচে ইউটিউবের একটি ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হয়েছে সূত্র হিসেবে]

এই কথা বলে তাজুল আসলে কি প্রমান করে দিলো? সেকি এটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে না যে রাষ্ট্রের হাতে অর্থ আছে, ক্ষমতা আছে, সুযোগ আছে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র সাক্ষীকে কিনে নেয়া উচিত? এই যে এই ধরনের মানসিকতা, এই মানসিকতাই কি তাজুলের পেশাগত কর্মকান্ডের পেছনের চালিকা শক্তি? তাজুলের কথা শুনে যা মনে হচ্ছে তা হোলো ক্ষমতা, অর্থ থাকলেই রাষ্ট্রের অন্যায় করা উচিত, সাক্ষীকে কেনা উচিত। অন্তত তাজুলের কথা শুনে ব্যাপারটা কি তা-ই দাঁড়াচ্ছে না? 

এই একই মানসিকতা যদি আমরা এখানে পরিগণিত করি, তাহলে কি এটাই বোঝা যায় যে জামাতের এত শত শত কোটি টাকা, তাদের ক্যাডার বাহিনী ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সুখরঞ্জন বালিকে অপহরন করেছে? কেননা টাকা থাকলেই যেখানে সাক্ষীকে কেনা যায় বলে তাজুল ক্যামেরার সামনে অভিমত দিয়েছে?

পঞ্চমতঃ

আসামী সাঈদীর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে যাতে করে বালিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সাঈদীর স্ত্রী এও বলেছে যে, সাফাই সাক্ষী দিতে গিয়ে অপহৃত হয়েছে বালি। আমি আগেই বলেছি যে, সাঈদীর মামলার সাক্ষ্য গ্রহন সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২৩ শে অক্টোবর। আর বালির ঘটনাটি ঘটলো নভেম্বরের ৫ তারিখে। আবার এইদিকে সাঈদীর আইনজীবিরা বলছে যে, এটা নতুন সাক্ষীকে আনবার পিটিশানের হিয়ারিং ছিলো। লক্ষ্য করুন, সাঈদীর স্ত্রীর স্টেটম্যান্ট আর সাঈদীর আইনজীবিদের স্টেটম্যান্ট কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে সাঈদীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে সেখানে কিভাবে একজন লোক নিখোঁজ অবস্থায় এতদিন থেকে হঠাৎ করে সাঈদীর আইনজীবির গাড়ি থেকে নেমে সাক্ষ্য দিতে আসে? 

ষষ্ঠতঃ

বালিকে ফিরিয়ে আনবার যে রিট পিটিশান করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেককেই বিবাদী করে সেই পিটিশানও কিন্তু করেছে আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক। রিট পিটিশান একমাত্র কোনো ঘটনায় এগ্রিভড ব্যাক্তিই করতে পারেন। এই বালির ক্ষেত্রে মূলত রিট পিটিশান করতে পারতেন বালির মেয়ে, স্ত্রী বা যারা বালির সাথে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। অথচ, এদের কাউকেই রিটের পার্টি না করেই আবুল কালাম আজাদ কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো? তাহলে আসলে ঘটনাটি কি হচ্ছে আদতে?

সপ্তমতঃ

যেদিন বালিকে নিয়ে এত কান্ড ঘটছে সেদিন কিন্তু পুরো বাংলাদেশ জুড়ে জামায়াত তান্ডব চালাচ্ছিলো। তারা পুলিশের কাছ থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পিটাচ্ছিলো। তারা পুলিশকে লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করে, বোমা মেরে, ইট-পাটকেল মেরে পুরো বাংলাদেশ রণক্ষেত্র করেছিলো। এই ঘটনার সুতো ধরে এবং আমার উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতেও কিন্তু বলা যায় যে, এটা কি জামাতের তৈরী করা কোনো ষড়যন্ত্র? তারা কি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আর সাক্ষীক ছিনতাই ঘটনা সাজিয়ে সরকারকে বেকাদায় ফেলে এই বিচার বানচাল করতে চেয়েছিলো? কেননা রাস্তায় রাস্তায় তারা সেদিন মিছিল করেছিলো তাদের আটক নেতাদের মুক্তি চেয়ে যারা কিনা এত বড় অপরাধে আটক এবং যাদের বিচার চলছে। যেই দল বিচার চলাকালীন অবস্থায়, এত সাক্ষী সাবুদ দেয়ার মত অবস্থায় অন্যায়ভাবে এই ব্যাক্তিদের মুক্তি চাইতে পারে সেই একই দলের নেতাদের আইনিজীবিদের সুষ্ঠু বিচার না ন্যায় বিচার চাইবার কথা বার্তা বলা, কিংবা এইভাবে সাক্ষীক গুম করবার এলিগেশন আনাটা কি উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে যৌক্তিক?

পুরো ঘটনা বিশ্লেষন করে একজন সুস্থ মানুষও বুঝতে পারে যে, এই পুরো সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ রহস্য সম্পূর্ণভাবে জামাতেরই একটি তৈরী করা নাটক এবং এই নাটকের মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সরকারকে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। আর এটিই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতদিন পর হঠাৎ সাংবাদিক বার্গম্যান তার ব্লগে সচল হোলো আর শুরু করলো সমালোচনা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুরু করলো লেখা, জামাতের আইনজীবি টবি ক্যাডম্যান তার ব্লগে ফেসবুকে লেখা শুরু করলো।

শেষ পর্যন্ত কি তাহলে নিজেদের সাক্ষীকেই গুম করে ফেললো সাঈদীর আইনিজীবিরা?

লেখার সূত্র সমূহঃ










No comments:

Post a Comment