Monday, 26 February 2018

সুপ্রিয় লাল কমরেড একটু পাছাটা উঁচু করুন, একটা সজোরে লাথি দিতে চাই

পাহাড়ের এক যুবক আমাকে গত পরশু খুব রেগে মেগে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন-১৯০০ ইনবক্সে পাঠান। যেখানে তিনি আমাকে প্রচন্ড তীব্র ভাষায় বলেন, পারলে পড়ে দেখবেন। আমরা এই আইনে চলি, আপনাদের মতো না।

আজ সকালে রেগুলেশনটিতে চোখ বুলাচ্ছিলাম। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। মন খারাপ হোলো দুটো কারনে।

(১) এই বাংলাদেশের বুকে কত নীরব অন্যায় অজানা রয়ে গেলো
(২) মানুষ কিভাবে দাসত্বকে এইভাবে মেনে নেয়

আপনি নিশ্চই ভাবছেন উপরের কথাগুলো আমি কেন লিখেছি? আসুন একটু জেনে নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর ৪২(ক)(১) থেকে শুরু করে ১৭ ধারা পর্যন্ত যে কথাগুলো লেখা রয়েছে সেটিকে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় "দাসত্ব" বলা যেতে পারে।

সেখানে লেখা রয়েছে-

Sunday, 25 February 2018

হে পাহাড় তুমি বিকশিত হও... বিনাশ কর সামন্ত প্রভুকে


একাত্তরের ঘাতক-রাজাকার পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বঘোষিত রাজা ত্রিদিব রায় ২০০৩ সালে একটি বই প্রকাশ করে। বইয়ের নাম "দি ডিপার্টেড মেলোডি" -[The Departed Melody, Memoirs, PPA Publications]। অনলাইনে অর্ডার করেছিলাম। গতকালই হাতে পেয়ে পড়া শুরু করেছি।

বইয়ের বিভিন্ন অংশ থেকে অল্প-বিস্তর উঁকি-ঝুঁকি দিতেই এক পৃষ্ঠায় দেখা গেলো এই ঘাতক আরেক ভয়ানক ঘাতক ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বেশ প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। তাকে "টাইগার" বলে অভিহিত করছে।

ফজলুল কাদের চৌধুরী কে, তা নিশ্চই সকলেই জানেন। একাত্তরের নৃশংস ঘাতক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা। "রতনে রতনে চিনে, শুয়োর চিনবে ঘেচু"। সুতরাং ত্রিদিব ফকা'র প্রশংসা করবে এতে অবাক হবার কিছু নেই।

কিন্তু বিষ্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে অন্য যায়গায়।

Saturday, 24 February 2018

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাচীন ন্যারেটিভঃ বাড়া ভাতে ছাই





[আমি লেখাটি উৎসর্গ করলাম আমার প্রিয় ভাই লেফটেন্যান্ট নিয়াজ হাসান আনন্দ-কে। বাবা-মা-পরিজন ছেড়ে যিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করবেন বলে মনস্থির করেছেন]

প্রথম ঘটনাটি বলছি। বহু বছর আগে লন্ডনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটা আলোচনায় অংশ নেবার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আমি খুব ভুল না করে থাকলে সালটা ২০০৯ অথবা ২০১০।

সেই আলোচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসী থেকে শুরু করে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সকলেই বলা চলে সিভিল সোসাইটির অংশ। স্কুল শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক ইত্যাদি গুনীজন।

আলোচনার একটা পর্যায়ে এক আপা (নাম বলছিনা) চট করে বলে বসলেন, (অনুলিখন) "নিঝুম আপনি জানেন না সেখানে বাংলাদেশ আর্মি মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষন করে, মাদকের ব্যবসা করে"

আমি খুব দ্রুত চারিদিকে তাকালাম। আমার সাথে থাকা **** ভাই ছাড়া আর বাকী সবাই খুব সম্ভবত এই অভিযোগে মাথা নাড়াচ্ছিলো। সবাই একমত। আমি আমার সকল বিষ্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, (অনুলিখন)

Wednesday, 21 February 2018

পার্বত্য চট্রগ্রাম ও সাম্প্রতিক ভাবনা

গত প্রায় দু'তিনদিন ধরে আমার ভাবনার ও পড়বার বিষয়ে খুব তীব্র আকার নিয়ে যোগ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে দিনের পর দিন অভিযোগের তীর ক্রমাগত উঠেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিকে।
পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে রটনা, যে কুৎসা কিংবা যে সংবাদ্গুলো অন্তত পক্ষে আমার ফেসবুকের টাইমলাইনে ভেসে আসে, তা মোটেই সুখকর নয়।
আমার ফেসবুকে যেসব পলিটিকাল কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা রয়েছেন এদের বেশীরভাগের বক্তব্য আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে নির্মোহ মনে করিনা। তাই তাদের বক্তব্য একেবাড়ে চূড়ান্ত বলে গ্রহন করতে পারিনি। এই না করবার পেছনে আমার নিজস্ব একটি অবস্থান ও যুক্তি রয়েছে। আমি আসছি এই ব্যাপারে।
গত প্রায় বেশ কিছুদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম দু'জন নারীকে ধর্ষন বিষয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যথারীতি চোখ বন্ধ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দোষ দিয়ে দুই তিনবার মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয় আমার আগ্রহের চূড়ান্ত জন্ম দিয়েছে।