বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার নথি-পত্র, জেরা-জবানবন্দী, মামলার কার্যক্রম এগুলো খুবই ঠান্ডা মাথায় মন দিয়ে পড়বার পর একজন সুস্থ মানুষ অল্প কিছুক্ষণের জন্য হলেও মুষড়ে পড়বে এই কথাটা আমি খুব নিশ্চিত করে বলতে পারি।
আপনি এই মামলার জেরা ও জবানবন্দী জানবার পরে যে ক্রোধে আচ্ছাদিত হবেন এবং যে ব্যাথায় আপনি নিমজ্জিত হবেন সেটি কোনো ভাষা দিয়ে বর্ণনা করা অসম্ভব। কতটা নিষ্ঠুর ও নৃশংস উপায়ে তাঁরা জাতির জনক সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করেছে, সেটি আমি কোনোদিন লিখে প্রকাশ করতে পারব কিনা, আমি জানিনা। কিন্তু বাংলাদেশ একটা সভ্য জাতির মত পরম ধৈর্য্য নিয়ে এই সুনির্দিষ্ট বিচারকাজ চালিয়ে গেছে।
আমার ইতিহাস পাঠ অভিজ্ঞতা জানায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্ন উঠেছিলো তখন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল এইসব অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে গুলি করে মারার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু মিত্র বাহিনীর অন্যান্য দেশের বিরোধিতার সেটি আর সম্ভব হয়নি।
এই মামলা পরিচালনা করবার একবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই ভয়ানক খুনীদের কি পরিমান সুযোগ ও সুবিধা দেয়া হয়েছিলো বিচারিক কার্যক্রমে। তাদেরকে ডিভিশন সুবিধা প্রদান থেকে শুরু করে কি সুবিধা ছিলোনা, যেটি দেয়া হয়নি?
আপনারা সকলেই জেনে থাকবেন যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হতে পারে সে জন্য খুনী মোশতাক একটি অধ্যাদেশ জারি করে ১৯৭৫ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর। এই অধ্যাদেশকেই কুখ্যাত "ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ" বলে। যেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিষ্কার ভাবে বলে দেয়া হয় যে, খুনীদের বিরুদ্ধে কোন রকমের আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না।
আসুন দেখে নেই কি লেখা ছিলো সেই অধ্যাদেশে-